,

মাধবপুরে উর্বর ফসলি জমির মাটি পাচার করতে কাটা হচ্ছে এলজিইডি’র সড়ক

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ অবৈধ ড্রেজারে সয়লাব পেয়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুর। এ সকল ড্রেজার মেশিন দিয়ে কেটে পাচার হচ্ছে শত শত একর উর্বর জমির মাটি। এতে করে রাতারাতি উর্বর ফসলি জমি রুপ নিচ্ছেগভীর গর্তে। অবৈধ ড্রেজার ব্যবহারকারীরা এতোটাই দুধর্ষ যে, বীরদর্পে মাটি কেটে জমির শ্রেনী পরিবর্তন করার স্বার্থে অনুমোদন ছাড়াই কেটে ফেলছে জনগনের চলাচলের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র নির্মিত পাকা সড়ক ! ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন বেলঘর-কাটুরা, নয়াপাড়া-খড়কি, মাজারগেইট-বাঘাসুরা, আন্দিউড়া-বুল্লা সড়কসহ উপজেলার প্রতিটা এলাকাতেই অবাধে চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বাণিজ্যিক হারে ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন। তবে তুলনা মূলক নয়াপাড়া ও জগদীশপুর, ছাতিয়াইন ইউনিয়নের অবৈধ ড্রেজারের ব্যবহার বেশি। নয়াপাড়া-খড়কি সড়কে একাধিক স্থানে পাকা কেটে ড্রেজারের পাইপ বসিয়ে ফসলি জমির মাটিকে তরলে রুপান্তর করে পাচার হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাটি বালু পাচারের এই অবৈধ কার্যক্রমের সাথে স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্য অথবা তাদের সন্তানরা জড়িত রয়েছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের এ অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পার্শ্ববর্তি জমির মালিকগনও প্রতিবাদ করতে পারেনা। এলাকা ভিত্তিক স্থানীয় প্রভাবশালীদের জবর দখলে থাকা ভিপি সম্পত্তি, জেলা প্রশাসকের মালিকানাধীন সম্পত্তি এমনকি সরকারী খাল থেকেও কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই অবাধে মাটি বালু বিক্রি করে পকেটভারী করছে তারা। এভাবে ভূ-সম্পত্তির উপর আগ্রাসী কার্যক্রমের উর্বর ফসলি জমি হ্রাস পেয়ে খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হওয়ার সাথে সাথে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। সড়ক কেটে পাইপ স্থাপনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জুলফিকার হক চৌধুরী বলেন, সড়ক কেটে পাইপ স্থাপনের কোন অনুমোতি দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ন অবৈধভাবে এ কাজ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাসান বলেন জমি গর্ত করে মাটি নিয়ে যাওয়ায় কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে। এতে ফসলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যহত হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর